শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা প্রতারণা ও জালিয়াতি করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে যশোরের প্রতারক মিঠু স্কুল কলেজের আধুনিক শিক্ষার ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কর্মমূখী শিক্ষায় রুপান্তর করতে হবে-এম. জহির উদ্দিন স্বপন বিসিসিআই’র রেজিস্ট্রার খাতা ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাইর শিকার হলেন শেখ রহিম
বাবুগঞ্জে শহীদ মিনার নয় যেন ময়লার ভাগাড়

বাবুগঞ্জে শহীদ মিনার নয় যেন ময়লার ভাগাড়

রাকিবুল হাসান, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের রাহুৎকাঠি বন্দরে প্রায় ১২বছর আগে ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মীত হয় একটি পাকা শহীদ মিনার। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ভাষা শহীদদের সম্মান ও গুরুত্ব তুলে ধরতে বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে নির্মীত হয় শহীদ মিনারটি। কিন্তু নির্মানের পর থেকেই কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয় মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মীত ঐ মিনারটি। ২১শে ফেব্রুয়ারি এলে কোন রকম পরিষ্কার করা হলেও পরের দিন থেকে নিয়মিত বাজারের সমস্ত ময়লা সেখানেই ফেলা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেহেরগতি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি রাহুৎকাঠি বাজারের (সাবেক শিকারপুর ফেরিঘাট)প্রবেশদ্বারে হাতের বামপাশেই পাবলিক টয়লেট ঘেঁষে নির্মান করা হয়েছে শহীদ মিনার টি। মিনারের চারপাশে ও মিনারের উপরে ফেলা রয়েছে সমস্ত বাজারের নোংরা ময়লা আবর্জনা। বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর একমাত্র রাত্রিজাপনের স্থান হয়ে দাড়িয়েছে শহীদ মিনারটি। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম অঙ্কুর রোপিত হয়েছিল বায়ান্নর ভাষা আন্দলনের মাধ্যমে। ‘মাতৃভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানের জন্য সালাম, রফিক, জব্বারের আত্মদানের মাধ্যমেই বাঙ্গালী স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্খা তীব্র হয়। আমাদের ভাষা শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। শহীদ মিনার একটি পবিত্র স্থান সেখানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করা অমানবিক চিন্তার বিকাশ। সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আর ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া-মহল্লায় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। শহীদ মিনার শুধু একদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়। শহীদ মিনার এভাবে ময়লার ভাগাড় তৈরি করা হলে এ প্রজন্মের কাছে শহীদ মিনারের গুরুত্ব কমে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলাম বলেন, আমাকে বিষয়টি এর আগে কেউ জানায়নি। শহীদ মিনার ময়লার ভাগাড় হয়ে থাকলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com